“SDM মেয়েকে অশ্লীল বার্তা পাঠাচ্ছে…” মায়ের অভিযোগ, তাৎক্ষণিক নেওয়া হলো ব্যবস্থা

মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এখানে এক মহিলা তার দেওরের সঙ্গে জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে এসে সবলগড়ের এসডিএম অরবিন্দ মাহোরের বিরুদ্ধে তার পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ এনেছেন। মহিলাটি বলেছেন, যদি তিনি বিচার না পান, তবে তার পুরো পরিবার আত্মহত্যা করবে। মহিলাটি মূলত সবলগড়ের বাসিন্দা, তবে এখন গোয়ালিয়রে থাকেন। তিনি বলেন, এসডিএম তার মেয়েকে ফোনে খারাপ মেসেজ পাঠিয়ে হয়রানি করেন। যখন তার মেয়ে এসডিএমকে বকা দেয়, তখন এসডিএম তার দেওরকে ডেকে হুমকি দেন, যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। এই অভিযোগের পর, কালেক্টর এসডিএম অরবিন্দ মাহোরকে সরিয়ে দিয়েছেন এবং তার জায়গায় নতুন এসডিএম হিসাবে মেঘা তিওয়ারিকে নিযুক্ত করেছেন।
গোয়ালিয়রের এই মহিলা এবং তার দেওর কালেক্টরের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন যে এসডিএম অরবিন্দ মাহোর তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। দেওর জানান, ৫ সেপ্টেম্বর এসডিএম তার দোকানে এসে তাকে হুমকি দেন, “আমি তোকে বাড়িতে ডেকেছিলাম, তুই কেন আসিসনি? সোজা চলে আসিস, নয়তো তোর পরিবারকে এমনভাবে ফাঁসিয়ে দেব যে তারা কোথাও দাঁড়াতে পারবে না।” এরপর দেওর এসডিএমের বাড়িতে গেলে তাকে গালিগালাজ করা হয়। দেওর এই ঘটনা মোবাইলে রেকর্ড করে নেন, কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ করেননি। কিন্তু ক্রমাগত হয়রানির কারণে তিনি তার দিদিকে নিয়ে কালেক্টরের কাছে আসেন। মহিলা প্রকাশ্যে বলেছেন যে গত এক বছর ধরে এসডিএম রাতে তার মেয়েকে মেসেজ করে হেনস্থা করছেন। মেয়েকে হুমকি দেওয়ার পর তিনি তার দেওরকে হুমকি দিতে শুরু করেন।
বিতর্কের সঙ্গে এসডিএমের পুরোনো সম্পর্ক
এসডিএম অরবিন্দ মাহোরের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে এক তহসিলের চাপরাশি সিয়ারাম আদিবাসীকে ডেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। চাপরাশির অপরাধ ছিল যে সে রাত ১২টায় এসডিএমের ফোন ধরেনি। এছাড়া, এর আগেও তিনি একটি ব্যক্তিগত হোটেলের গার্ডের ফোন ভেঙে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। এই ঘটনাগুলি প্রমাণ করে যে এসডিএম অরবিন্দ মাহোরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি কোনো নতুন বিষয় নয়। বর্তমানে, পুলিশ চাপরাশিকে মারধরের ঘটনার তদন্ত করছে।