“মাসুদ আজহারই মুম্বই হামলার ‘মূল হোতা”-ভিডিওতে স্বীকার করলো জইশ জঙ্গি

সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা পাকিস্তান সম্পর্কে আরও বড় তথ্য ফাঁস হয়েছে। জইশ-ই-মুহাম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরী এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেছে, যেখানে সে কার্যত কবুল করেছে যে দিল্লি এবং মুম্বইয়ের সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ছিল মাসুদ আজহার। অর্থাৎ, সংসদ ভবনে হামলা এবং ২৬/১১ এর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড যে মাসুদ আজহারই, তা তার সংগঠনের একজন সদস্যই স্বীকার করে নিয়েছে। মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরী আরও উল্লেখ করে যে, পাকিস্তানের বালাকোট এবং বাহওয়ালপুরের জইশ ঘাঁটিগুলিতে ভারতীয় সেনার আক্রমণের জন্য ‘বালাকোটের মাটি’ ছিল মাসুদ আজহারের মিশনের ঠিকানা।
জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরী তার স্বীকারোক্তিতে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে। সে বলে, বাহওয়ালপুরের জইশ ক্যাম্পে নিহত সন্ত্রাসবাদীদের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য স্বয়ং পাক সেনাপ্রধানের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছিল। তিনিই সেনা অফিসারদের জঙ্গিদের শেষযাত্রায় অংশ নিতে বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, বাহওয়ালপুর এবং জইশ-ই-মুহাম্মদের মধ্যে যোগসূত্র গোপন করার চেষ্টাও করেছিল পাক সেনাবাহিনী। এই স্বীকারোক্তি থেকে স্পষ্ট যে পাকিস্তান সরকার ও সেনা সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি মদদ দিচ্ছে।
জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তি থেকে আরও একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরী জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রকাশ্যে সে বলে, “আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে দিল্লির নরেন্দ্র মোদী এবং ইসরায়েলের নেতানিয়াহু পর্যন্ত, যে এঁদের যুদ্ধে নামতে বাধ্য করছে, তার নাম মাসুদ আজহার। আল-জিহাদের শব্দ নেতানিয়াহু পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।” সে আরও বলে, কিছু জঙ্গি সংগঠন একত্রিত হতে অস্বীকার করলেও বাকিরা এখনও জিহাদকে জিইয়ে রাখতে চাইছে। তার এই মন্তব্যগুলো শুধু ভারতের প্রতি হুমকিই নয়, বরং বিশ্বশান্তির জন্যও এক বড় বিপদ।