প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জাদু! কেন প্রতিটি নির্বাচনেই তাঁর ওপর ভরসা রাখে বিজেপি?

আজ ৭৫ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একজন রাজনীতিক হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা অতুলনীয়। তাঁর জীবন কেটেছে সাধারণ মানুষের মাঝে, দারিদ্র্য ও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই কারণেই তিনি অন্য সব রাজনীতিকের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষাগুলো বারবার দেখিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদি যখন কোনো নির্বাচনে প্রচারে নামেন, তখন দলের সাফল্য প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপির প্রথম জয়, ২০২৪ সালে ওড়িশায় জয়, বা ২০১৭ এবং ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে ঐতিহাসিক সাফল্য—সবই ‘মোদি ফ্যাক্টর’-এর শক্তি প্রমাণ করে। নির্বাচনী প্রচারে দলীয় নেতারা তাঁদের এলাকায় মোদির সমাবেশ আয়োজনের জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা করেন, কারণ এটিকেই জয়ের মূলমন্ত্র বলে মনে করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান দিক হলো সাধারণ মানুষের কথা মন দিয়ে শোনার ক্ষমতা। প্রাক্তন সিবিআই প্রধানের মতে, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু মোদি সব বাধা অতিক্রম করে উঠে এসেছেন। এর কারণ হলো, তাঁর কঠিন জীবন এবং আরএসএস-এর সঙ্গে কাটানো দিনগুলো।
১৯৭৯ সালে গুজরাটের বন্যাবিধ্বস্ত মোরবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সী আরএসএস কর্মী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কাদা সরিয়েছেন, পচা মৃতদেহ সৎকার করেছেন এবং প্রিয়জন হারানো পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই অভিজ্ঞতাগুলোই তাঁকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শিখিয়েছে। এমনকি জরুরি অবস্থার সময়ও তিনি ছদ্মবেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এই ধরনের দৃঢ়তা এবং জনগণের প্রতি সহানুভূতিই তাঁকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।
২০০১ সালে কচ্ছ ভূমিকম্প, ২০০৬ সালে সুরাটে বন্যা, বা ২০১৪ সালে কাশ্মীর বন্যা—প্রতিটি দুর্যোগে প্রশাসক হিসেবে মোদির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ২০২০ সালের কোভিড-১৯ সংকটের সময় তিনি দেশীয় ভ্যাকসিনের ওপর জোর দিয়ে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। ৭৫ বছর বয়সেও মোদি অপ্রতিরোধ্য এবং দেশ ও জনগণের জন্য আরও কাজ করতে প্রস্তুত।