‘দাদা’র ডাকে সাড়া, নাবালিকার সর্বনাশ! নেশাগ্রস্ত করে গণধর্ষণ ৬ বন্ধুর, সারারাত পড়ে রইল খেতের ধারে

পরিচিত দাদার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হলো এক ১৪ বছরের কিশোরী। নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খাইয়ে অচেতন করে তাকে গণধর্ষণ করে ওই যুবক ও তার ৫ বন্ধু। বিহারের খাগারিয়া জেলার এই ঘটনায় পুলিশ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলেও তারা এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক ওই নাবালিকার পূর্ব পরিচিত। কথা বলার অজুহাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে একটি নির্জন এলাকায় যায় সে। সেখানে তার আরও পাঁচ বন্ধু অপেক্ষা করছিল। সেখানে তারা নাবালিকাকে মাদক মেশানো পানীয় খেতে দেয়। পানীয় খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সারারাত সে ওই নির্জন স্থানে পড়ে ছিল। সকালে জ্ঞান ফেরার পর কোনওমতে বাড়িতে ফিরে পরিবারের কাছে পুরো ঘটনা জানায়। এরপরই পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গত মাসে উত্তরপ্রদেশের কানপুরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক নাবালিকাকে তার প্রেমিক মহেশ জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এরপর তার দুই বন্ধু সেখানে এসে ধর্ষণের ভিডিও করে এবং ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে নাবালিকার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না পেয়ে তাকে আরও নির্যাতন করা হয়। অনেক রাতে একজন অভিযুক্ত তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যায়। পরে নাবালিকা থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ মহেশের দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। মূল অভিযুক্ত মহেশ এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।