‘রক্ষকই ভক্ষক’, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কেন সহকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলল নাবালিকা

উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের পর সেই নাবালিকা অপমানে ও লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী ওই নাবালিকারই প্রতিবেশী ছিলেন।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাঙ্গিপুর থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় ১৪ বছর বয়সী ওই নাবালিকা সোমবার আত্মহত্যা করে। তার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী তরুণ, যিনি একজন পুলিশ কর্মী, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন। নাবালিকা তাতে বাধা দিলে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এই ঘটনার পর ভয়ে নাবালিকা প্রথমে বাড়িতে কাউকে কিছু জানায়নি। কিন্তু সোমবার সে তার পরিবারের কাছে পুরো ঘটনাটি ফাঁস করে দেয়। এরপরই সে নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়।
পুলিশ আধিকারিক সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে মৌ জেলায় প্রশিক্ষণে থাকা ওই পুলিশ কর্মীকে আটক করার জন্য পুলিশের একটি দল সেখানে রওনা দিয়েছে।
কানপুরে গণধর্ষণের ঘটনা
একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। গত জুলাই মাসে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানা গেছে, নাবালিকা তার প্রেমিক মহেশের সঙ্গে ছিল। মহেশ জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেই সময় মহেশের দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষণের ভিডিও তোলে। তারা সেই ভিডিও দিয়ে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে।
নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। যদিও প্রধান অভিযুক্ত মহেশ এখনো পলাতক। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।