চাকরিপ্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগের অভিযোগ, এবার কেন উচ্চ-প্রাথমিক নিয়োগে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর বাড়িয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) বিরুদ্ধে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য রাজ্যের শিক্ষা সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তাকেও মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

কী এই অভিযোগ?
মামলাকারী এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন, জাকির হোসেন নামে এক প্রার্থী কাট-অফ মার্কসের থেকে কম নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউতে সুযোগ পেয়েছেন এবং চাকরি পেয়েছেন। মেধাতালিকা অনুযায়ী, জাকির হোসেনের মোট নম্বর ছিল ৭৪.৬৮, যেখানে কাট-অফ মার্কস ছিল ৭৫.৭৩৩।

আদালতে পেশ করা অভিযোগ অনুযায়ী, জাকির হোসেনের স্নাতক পরীক্ষার নম্বর অনুসারে অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৬ হওয়ার কথা থাকলেও, তাকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে। মামলাকারী রবিউল ইসলাম মণ্ডল প্রশ্ন তুলেছেন যে, কমিশন ভুল করে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে জাকিরের নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি নম্বর বাড়ানো হয়, তাহলে তারও নম্বর বৃদ্ধি করা হোক, যাতে তিনিও চাকরি পেতে পারেন।

আদালতের নির্দেশ
বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সচিবের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেন জাকির হোসেনকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হলো। পুজোর ছুটির পর আদালত খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। একইরকম অভিযোগ উঠেছে গণেশচন্দ্র মজুমদার নামে আরও এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তার নম্বরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যও বিচারপতি শিক্ষা সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ উচ্চ-প্রাথমিকের ১ হাজার ২৪১ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নিয়োগের মাঝেই এই নতুন অভিযোগ ওঠায় পুরো প্রক্রিয়াটি আবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।