‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে বরদাস্ত করব না’, কেন এমন কড়া নির্দেশিকা জারি করল আলিয়া কর্তৃপক্ষ

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ এক কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা যদি এমন কোনও মন্তব্য বা ছবি প্রকাশ করেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নিষেধাজ্ঞা সোশ্যাল মিডিয়া সহ সব ধরনের মাধ্যমের জন্য প্রযোজ্য।

কেন এই নির্দেশিকা?

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ডিজিটাল মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমার নামে অনেক মিথ্যা রটনা রটে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এটা আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না।”

নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও কোনও ব্যানার, পোস্টার বা অনুরূপ সামগ্রী প্রদর্শন করা হলে তা সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করা হবে। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

বিতর্ক ও প্রতিবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাম ছাত্রনেতা শুভ্রজিৎ সরকার। তিনি এটিকে ‘সংবিধান বিরোধী’ কাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। শুভ্রজিৎ সরকার বলেন, “সংবিধান আমাকে রাজনীতি এবং প্রতিবাদ করার অধিকার দিয়েছে। যদি আমরা আজ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করি, তাহলে ভবিষ্যতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এমন ফরমায়েশ জারি হবে।” তিনি ছাত্র সমাজকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ কি না, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যেখানে শৃঙ্খলা ও মর্যাদা রক্ষার কথা বলছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিবাদের অধিকার হরণের আশঙ্কা করছে।