পুজোর মুখে বেতন বন্ধ, কৃষ্ণনগর পুরসভার কর্মীদের মাথায় হাত! নেপথ্যে কী কারণ?

পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, অথচ এই সময়েই বেতন ও বোনাস না পাওয়ায় কৃষ্ণনগর পুরসভার কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৮০০ জন অস্থায়ী কর্মী, যারা শহরের জঞ্জাল সাফাই, নিকাশি ব্যবস্থা এবং জল সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন, তারা এখনো তাদের প্রাপ্য বেতন ও বোনাস হাতে পাননি।
কেন বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না?
প্রতি বছর পুজোর মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকেই এই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন এবং বোনাস বাবদ ৬,৫০০ টাকা দেওয়া হতো। কিন্তু এ বছর সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ পেরিয়ে গেলেও তাদের বেতন দেওয়া হয়নি।
পুরসভার বর্তমান শাসক গোষ্ঠী এই অবস্থার জন্য দুটি কারণ দেখিয়েছে:
তহবিলে অর্থের অভাব: পুরসভার কার্যনির্বাহী পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, পুরসভার নিজস্ব তহবিলে অর্থের সমস্যা থাকার কারণে বেতন ও বোনাস দিতে দেরি হচ্ছে।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুর প্রতিনিধি জানান, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের কারণেই বেতন দিতে সমস্যা হচ্ছে।
অন্যদিকে, প্রাক্তন পুরপ্রধান রিতা দাস বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তার মতে, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে ছাঁটাই করার চেষ্টার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমার সময়ে ও পূর্বতন চেয়ারম্যানদের সময়ে নিয়মিত বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অনৈতিক আচরণের কারণে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন বন্ধ রয়েছে, যার ফলে আয়ের একাধিক উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।”
অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবীর দাস বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে শহরের নোংরা পরিষ্কার করছি, কিন্তু উৎসবের মাসে আমাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব?”
পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে কর্মীদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার চেষ্টা চলছে।