একজন সাধারণ ছাত্র হয়ে ওঠে ‘এ.কে.-৪৭-এর ডন’, এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে আজও মানুষ কেন মনে রেখেছে?

১৯৯০-এর দশকে বিহারের রাজনীতি ও অপরাধের জগতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়, যখন অশোক শর্মা নামে এক মেধাবী ছাত্র অপরাধের পথে পা বাড়িয়ে ‘অশোক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বেগুসরাইয়ের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া অশোক এম.এ. পাশ করার পর দারোগা হওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু বন্ধুর আত্মহত্যার চেষ্টা তাকে অপরাধের জগতে ঠেলে দেয়। এরপর সে বিহারের অপরাধ ইতিহাসে প্রথমবার এ.কে.-৪৭ নিয়ে আসে এবং একটি ভয়ঙ্কর গ্যাং তৈরি করে। তার দলের কাছে এমন বন্দুক ছিল যা পুলিশের কাছেও ছিল না।

রেলওয়ের ঠিকাদারি থেকে শুরু করে জমি দখল, ভোট কেন্দ্রে জালিয়াতি, অপহরণ ও খুন – সবকিছুতেই তার নাম জড়িয়ে পড়ে। মোকামার আরেক কুখ্যাত মাফিয়া সূর্যভানের সঙ্গে তার গ্যাং যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে। এই সময় অসংখ্য এনকাউন্টার ও হত্যা হয়। তা সত্ত্বেও, অশোক সম্রাট তার এলাকার গরীবদের কাছে ‘গরীবের মসিহা’ হিসেবে পরিচিত ছিল। রাজনীতিতে আসার স্বপ্ন দেখেছিল সে, কিন্তু তার আগেই ১৯৯৫ সালের ৫ই জানুয়ারি, পুলিশ অফিসার শশীভূষণ শর্মার সঙ্গে এনকাউন্টারে তার জীবনাবসান ঘটে। এই এনকাউন্টারে শশীভূষণ ডিএসপি পদে উন্নীত হন এবং রাষ্ট্রপতি পদক পান।