যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যু-রহস্য! টিএমসিপি-এসএফআই দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা, কাঠগড়ায় সিসিটিভি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও এক মর্মান্তিক ঘটনা। অনুষ্ঠান চলাকালীন চার নম্বর গেটের কাছে একটি ঝিলের পাশ থেকে রহস্যজনকভাবে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইংরেজি বিভাগের ওই ছাত্রীর বাড়ি নিমতায়। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এবং শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবিকে আরও জোরালো করেছে। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি এবং পুলিশ ফাঁড়ি কতটা জরুরি। তারা আরও প্রশ্ন তুলেছে, কেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিল। তাদের মতে, যাদবপুরে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় নজরদারির অভাবে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ হয়ে থাকে।
টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দু’বছর আগে স্বপ্নদীপের মৃত্যু দেখেছি, আজ আবার একজন। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানো ও স্থায়ী পুলিশ পোস্টিং আমাদের বরাবরের দাবি। যারা সিসিটিভি লাগানোর বিরুদ্ধে, তারা এর দায়ভার এড়াতে পারে না।”
আগেও ছিল সিসিটিভি বিতর্ক
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এক দশক আগে ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের সময় থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। পরে হোস্টেল এবং গেটে সিসিটিভি বসানো হলেও ক্যাম্পাসের অন্যান্য জায়গায় ক্যামেরা বসানো নিয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে। এই বছরের মার্চ মাসেও সিসিটিভি বসানোর জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, কিন্তু তা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে ছাত্রীটির মৃত্যু কি শুধুই একটি দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।