‘অযৌক্তিক’ এবং ‘ক্ষমতার স্পষ্ট অপব্যবহার’-AAP বিধায়ক গ্রেপ্তার হতেই উত্তাল কাশ্মীর

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে আম আদমি পার্টির একমাত্র বিধায়ক মেহরাজ মালিকের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে। সোমবার কঠোর জননিরাপত্তা আইনের (Public Safety Act) অধীনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই ঘটনাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেছেন।
ডোডার জেলাশাসক হরবিন্দর সিং-এর অভিযোগ, মেহরাজ মালিক তার সঙ্গে কথা বলার সময় ‘অশালীন এবং অসংসদীয়’ ভাষা ব্যবহার করেছেন। একটি গাড়ির ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। জেলাশাসকের দাবি, বিধায়কের এই আচরণ ‘জনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকি’, আর তাই Public Safety Act ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো বিধায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা করা হয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ দু’বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মেহরাজ মালিকের গ্রেপ্তারির পর তার পরিবারের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিধায়ক কী এমন অপরাধ করেছেন যে এই কঠোর আইনের আশ্রয় নিতে হলো? তার মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে দুর্বল করবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের হাতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনো ক্ষমতা নেই, সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্র এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতেই রয়েছে।
বিধায়কের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে ডোডা জেলায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুরো জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে সমস্ত বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই ঘটনা এখন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে এক বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।