ভুল বোঝানো হচ্ছে! সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্ব পেলেন মতুয়া বৃদ্ধ, যা বললেন তা চমকে দেবে…

সিএএ (Citizenship Amendment Act) নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এরই মধ্যে সিএএ-তে আবেদন করে ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট হাতে পেলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মতুয়া সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধ, যার নাম প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস। বাংলাদেশের প্রাক্তন এই পোস্টমাস্টার নাগরিকত্ব পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং বাকি মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন।

নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “মতুয়াদের সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আমি কারও কথায় কান না দিয়ে আবেদন করি। কোনো হয়রানি ছাড়াই সার্টিফিকেট পেয়েছি। সিএএ-তে আবেদন করায় আমার কোনো ভাতা বা সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “এখন আর আমাকে কেউ ভারত থেকে বিতাড়িত করতে পারবে না। আমি একজন ভারতীয় নাগরিক, ভারত সরকার আমাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কোনো প্ররোচনায় প্রভাবিত না হয়ে এবং ভয় না পেয়ে সকল মতুয়াদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অনুরোধ করব।”

জানা গেছে, প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস একসময় বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ডাক বিভাগে পোস্টমাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তিনি ২০০৯ সাল থেকে পাকাপাকিভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং রেশন কার্ডও তৈরি করেন। সিএএ আইন কার্যকর হওয়ার পর তিনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে আবেদন করেন এবং সম্প্রতি সমস্ত ভেরিফিকেশনের পর নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট হাতে পান।

এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা বিধানচন্দ্র হাওলাদার বলেন, “তৃণমূল মানুষকে সিএএ নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। প্রমথরঞ্জনবাবুর নাগরিকত্ব প্রাপ্তি প্রমাণ করে যে এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া।” অন্যদিকে, বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অঘোরচন্দ্র হালদার এই ঘটনাকে ‘গিমিক’ বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। এত মানুষ আবেদন করার পরেও কেন মাত্র দু-একজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।”