মাঝরাতে হঠাৎ উত্তরকন্যা ভবনে মমতা! কারণ শুনে অবাক পুলিশ-প্রশাসনও

বুধবার মাঝরাতে হঠাৎ শিলিগুড়ির কন্যাশ্রী অতিথিনিবাস থেকে উত্তরকন্যা ভবনে এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীর এই আকস্মিক পদক্ষেপে শিলিগুড়ি পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। তড়িঘড়ি শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার-সহ শীর্ষ কর্তারা উত্তরকন্যা ভবনে ছুটে আসেন।
কেন এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত?
তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে শিলিগুড়ির কাছে কন্যাশ্রী অতিথিনিবাসে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু মাঝরাতে তিনি হঠাৎ সেখানে থেকে উত্তরকন্যা ভবনে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এর পেছনের কারণ জানতে গিয়ে জানা যায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আসলে, পাশের দেশ নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেখানকার কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের পর সম্প্রতি ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের কারণে নেপালে বিক্ষোভ আরও বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নেপাল সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কন্যাশ্রী অতিথিনিবাসে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নেপালের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে বারবার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এমনকি ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী অরূপ বিশ্বাস জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি সর্বভারতীয় স্তরের একজন নেত্রী। ইন্টারনেট কাজ না করায় তিনি কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। পার্শ্ববর্তী দেশে এমন একটি ঘটনা ঘটায় মুখ্যমন্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন। তাই বাধ্য হয়ে উত্তরকন্যা ভবনের নিজের ঘরে এসে কাজ করেছেন।”
এই কারণেই সমস্ত প্রটোকল ভেঙে মাঝরাতে তিনি নিজের দলবল নিয়ে চলে আসেন উত্তরকন্যা ভবনে।