“কেউ ঝামেলায় জড়াবেন না”-নেপাল ইস্যুতে রাজ্যবাসীকে বিশেষ বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

গণবিদ্রোহের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে সেদেশের তরুণ প্রজন্ম অর্থাৎ Gen Z-এর আন্দোলনের চাপের মুখে নতিস্বীকার করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নেপাল আমার দেশ নয়। ওই বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার দেখবে। আমরা প্রতিবেশীদের ভালোবাসি। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। যদি কেন্দ্র কিছু বলে, অবস্থান নেয়, তারপরই আমরা যা বলার বলতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “শিলিগুড়ি, কালিম্পং অঞ্চলে আমাদের বিস্তীর্ণ বর্ডার আছে। নেপালকে আমরা ভালোবাসি। কেউ কোনও ঝামেলায় জড়াবেন না। আমরা নেপালের বিষয়ে নাক গলাব না। প্রতিবেশী দেশে শান্তি বজায় থাক, এটাই চাই।”
নেপাল প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী SIR নিয়ে তাঁর ও তাঁর দলের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেন। তিনি জানান, একাধিক প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কয়েক মাসে SIR করা সম্ভব নয়, এর জন্য কয়েক বছর সময় লাগবে। তাঁর কথায়, “আমরা SIR-এর বিরুদ্ধে। সে কথা আগেও বলেছি। এভাবে ভোট হয় না। আমরা এর বিরোধিতা করব। ভোটার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।”
নেপালে কেন এত বিক্ষোভ?
সোমবার থেকে নেপাল উত্তাল। সেদেশের সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরই গণবিক্ষোভ শুরু হয়। সেনা ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতেই প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয় যে, শেষমেশ সেনার পরামর্শে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। ভারত সরকার জানিয়েছে, নেপালের পরিস্থিতির উপর তারা কড়া নজর রাখছে।