বন্যার ক্ষত সারিয়ে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সফরে মমতা! নেপাল নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী

তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি নেপালের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শান্তি কামনা করে ভারত সরকারকে নেপাল সীমান্তে বাড়তি নজর রাখার আবেদন জানিয়েছেন। কারণ তাঁর আশঙ্কা, নেপালের অস্থিরতা ভারতে প্রবেশ করতে পারে।

স্যার (SIR) নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁদের দল বরাবরই এর বিরোধিতা করে এসেছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আধারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি বাংলার জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, যাঁদের আধার কার্ড আছে তাঁদের চিন্তার কোনো কারণ নেই, তবে যাঁদের নেই, তাঁদের দ্রুত আধার কার্ড তৈরি করে নিতে হবে।

এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ির উত্তরকন্যা সচিবালয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করবেন এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি খতিয়ে দেখবেন।

প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জলপাইগুড়িতে ১৫০ কোটি টাকার পানীয় জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিস্তা নদী থেকে জল এনে জলপাইগুড়ি শহরের প্রায় ১৯,০০০ পরিবারকে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।

একই সঙ্গে, এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দিকও রয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে তিনি দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করার কৌশল এবং নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। ১১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির এবিপিসি মাঠে একটি জনসভায়ও তিনি ভাষণ দেবেন, যা আগামী নির্বাচনের জন্য দলের জনসমর্থন বাড়াতে সাহায্য করবে।