রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে নেপাল, সংঘর্ষে নিহত ১৯! ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি হয়েছে হাই-অ্যালার্ট, আটকে বহু ভারতীয়

প্রতিবেশী দেশ নেপালে ছাত্র-যুবর আন্দোলনে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেপালের কৃষিমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী-সহ মোট ৯ জন মন্ত্রী ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এই আবহে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত সরকার ভারত-নেপাল সীমান্তে হাই-অ্যালার্ট জারি করেছে।

নেপালের আন্দোলনের আঁচ যাতে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে না-ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ—এই পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে নেপালের ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই রাজ্যগুলির সবক’টিতেই এখন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নেপালের বিরতামোড় সীমান্তে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে, যেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর জেরেই ভারত-নেপাল সীমান্তে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক হাই-অ্যালার্ট জারি করেছে।

পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে সকাল থেকেই পুলিশ কড়া নাকা তল্লাশি শুরু করেছে। সাধারণত এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার মানুষ যাতায়াত করে, সেখানে এখন হাতেগোনা দু-একটি গাড়ি দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেকটি গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে এবং ডগ স্কোয়াডও নামানো হয়েছে। সীমান্তের দু’পারেই শয়ে শয়ে ট্রাক আটকে রয়েছে এবং নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য দার্জিলিং জেলা পুলিশ একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম চালু করেছে।

দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, “আমরা সতর্ক রয়েছি এবং নেপাল পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এসএসবি-ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নেপালে কোনো ভারতীয় সমস্যায় পড়লে দার্জিলিং জেলা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করলে আমরা তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করব।” নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের চোখেমুখেও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তারা যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন।