ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় সওয়াল! বকেয়া মহার্ঘ ভাতার অধিকার নিয়ে কী যুক্তি দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ?

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় দেখা দিয়েছে। সোমবার শীর্ষ আদালতে শুনানির সময় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবীরা ডিএ পাওয়ার পথ প্রশস্ত করার জন্য একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

কেন এই সওয়াল?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার অধিকার সার্ভিস রুল থেকেই আসে, ‘ক্ল্যারিফিকেটরি নোট’ থেকে নয়, যেমনটি রাজ্য সরকার দাবি করছে।

যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, সার্ভিস রুলের মধ্যে স্পষ্ট লেখা আছে যে ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি অধিকার এবং এটি বেতনের অংশ। তাই সর্বভারতীয় মূল্যসূচক (AICPI) অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র রোপা ২০০৯-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং রোপা ২০১৯ (ষষ্ঠ বেতন কমিশন)-এর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।

ভবিষ্যতে কী হতে পারে?
আহ্বায়ক আরও দাবি করেছেন যে, রাজ্য সরকার রোপা ২০১৯-তে (ষষ্ঠ বেতন কমিশন) ডিএ-র বিষয়টি বাদ দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে এই মামলাতেও তাঁরা জিতবেন।

কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ২০১০ সাল পর্যন্ত সরকার একটি নির্দিষ্ট বিধি মেনে ডিএ দিত, কিন্তু ২০১১ সাল থেকে সেই ব্যাখ্যা পাল্টে গিয়েছে। এটি কোনো যুক্তি নয়।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা মূলত পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ নিয়ে। রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ পাচ্ছেন।