“আব্বাস যেখানে প্রার্থী হবে সেখানেই আমি দাঁড়াব”- ওপেন চ্যালেঞ্জ শওকত মোল্লার

২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে আবারও রাজনৈতিক ভাঙনের সাক্ষী হলো ভাঙড়। মঙ্গলবার ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে কংগ্রেস এবং বিজেপি ছেড়ে কয়েক হাজার কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। আইএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের মধ্য দিয়ে এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। ভাঙড়ের ৯১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনপুর সবজি বাজার পর্যন্ত এই প্রতিবাদ মিছিল হয়।

দলবদল করার পরেই মঞ্চ থেকে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা রফিকুল ইসলাম সরাসরি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং আব্বাস সিদ্দিকিকে হুমকি দেন। তিনি বলেন, “আগামীদিনে ভাঙড়ের মা-বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে ওদের মুখে মারবে।” রফিকুল আরও দাবি করেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর গাড়ি ব্যবহার করেই নাকি নওশাদ সিদ্দিকি প্রচার করেছিলেন এবং তিনি না থাকলে নওশাদ ভাঙড়ে জিততেই পারতেন না।

একই মঞ্চ থেকে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বলেন, “যদি তুই মায়ের দুধ খেয়ে থাকিস, তুই যদি একবার বাপের ব্যাটা হয়ে থাকিস, একবার আমার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়া। তুই যেখানে দাঁড়াবি আমি সেখানেই দাঁড়াব। তুই ভাঙড়ে দাঁড়ালে আমি ভাঙড়েই তোর বিরুদ্ধে প্রার্থী হব। তুই বারুইপুরে প্রার্থী হলে আমি বারুইপুরেই তোর বিরুদ্ধে প্রার্থী হব। তুই ক্যানিংয়ে প্রার্থী হলে আমি ক্যানিংয়েই তোর বিরুদ্ধে প্রার্থী হব।”

নওশাদ সিদ্দিকির পাল্টা জবাব
রফিকুল ইসলামের অভিযোগ প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আজ যাঁরা এই সব বলছেন, তাঁরা কংগ্রেসে থাকার সময় কটা মিটিং করেছেন? তাঁরা কংগ্রেসে থেকেই তো অভিযোগ আনতে পারতেন, তৃণমূলে যোগ দিলেন কেন?” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তাঁর বিধায়ক পদের মেয়াদ শেষে তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার সব হিসাব তিনি প্রকাশ করে দেবেন।