মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৭৮২ জন সাংসদ ভোট দেবেন, যার মধ্যে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৯১টি ভোট। কিন্তু এই সংখ্যায় পৌঁছানো কি আদৌ সম্ভব? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচন আসলে কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। কারণ সংখ্যার সমীকরণে এনডিএ জোটের জয় ইতিমধ্যেই নিশ্চিত।

ভোটের অঙ্ক কী বলছে?
বর্তমানে এনডিএ জোটের হাতে রয়েছে প্রায় ৪২৭ জন সাংসদের সমর্থন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা থেকে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া ব্লক’-এর হাতে রয়েছে মাত্র ৩২৪ জন সাংসদ। এই বিশাল ব্যবধানই এনডিএ প্রার্থী সি.পি. রাধাকৃষ্ণনের জয়কে কার্যত সময়ের অপেক্ষা করে তুলেছে।

কেন এনডিএ এত এগিয়ে?
বিজেপি একাই লোকসভায় ২৪০ এবং রাজ্যসভায় ১০০-র বেশি সাংসদ নিয়ে এগিয়ে। এর সঙ্গে জোটসঙ্গী টিডিপি, জেডিইউ, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা, জনসেনা পার্টি, জেডিএস-সহ একাধিক আঞ্চলিক দলের সমর্থন রয়েছে। এর পাশাপাশি ওয়াইএসআর কংগ্রেসও এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপিকে সমর্থন না করলেও বিআরএস এবং বিজু জনতা দল (বিজেডি) এই ভোটে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে, যা পরোক্ষভাবে এনডিএ-র পথ আরও মসৃণ করে দিয়েছে।

INDIA জোটের কী হবে?
বিরোধী জোটের প্রধান ভরসা কংগ্রেসের ১২৬ জন সাংসদের ওপর। এর সঙ্গে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং বামফ্রন্টের মতো দলগুলো। কিন্তু সব মিলিয়ে এই সংখ্যা ৩২৪-এর বেশি নয়, যা জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে সংখ্যায় পিছিয়ে থাকা এই জোটের প্রার্থী বি. সুধর্শন রেড্ডির জয় প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে, ফল ঘোষণার আগেই এই নির্বাচনের ফলাফল প্রায় স্পষ্ট।