ডিএ মামলায় চূড়ান্ত শুনানি শেষ, সুপ্রিম কোর্টে কেন সব পক্ষকে লিখিত জমা দিতে বলল আদালত

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বহু প্রতীক্ষিত মহার্ঘভাতা (DA) মামলার শুনানি অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে শেষ হল। বিচারপতি সঞ্জয় কারল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে। একই সঙ্গে, আদালত সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন রাজ্যের তরফে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট ডিএ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশ দেয়, তাহলে তা সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জন্য কার্যকর হওয়া উচিত। তাই এক্ষেত্রে সব রাজ্যকে নোটিশ করা প্রয়োজন। তিনি আরও যুক্তি দেন যে, মহার্ঘভাতা নির্ভর করে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রা ও জিনিসপত্রের দামের উপর, যা রাজ্যভেদে ভিন্ন হয়। তাই ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, বরং রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘সময় সময়’ ডিএ দেওয়া যায়।
মামলার ইতিহাস
অন্যদিকে, কর্মচারী সংগঠনগুলোর আইনজীবীরা যুক্তি দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেন যে, ডিএ কোনো দয়ার দান নয়, বরং এটি কর্মচারীদের আইনি অধিকার এবং রাজ্যের দায়িত্ব। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টও একই রায় দিয়েছিল। হাইকোর্ট তখন জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা প্রাপ্য। এই রায়ের পরেও রাজ্য ডিএ না দেওয়ায় মামলাটি সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছায়।
এখন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ই ঠিক করে দেবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ডিএ-র ভবিষ্যৎ।