খোকা ইলিশ পাচার, ফেসবুক পোস্ট থেকে বিরাট বিতর্ক, তদন্ত শুরু পুলিশের, কী ঘটেছিল জানেন

ডায়মন্ড হারবারে ‘খোকা ইলিশ’ নিয়ে বড় বিতর্ক সামনে এসেছে। বেআইনিভাবে ছোট ইলিশ পাচার করার অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর মাছ ব্যবসায়ীর একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে মগরাহাট ও ডায়মন্ড হারবার থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, শঙ্খদীপ চক্রবর্তী নামে এক মাছ ব্যবসায়ী তাঁর গাড়িতে ২৪০ কেজি খোকা ইলিশ নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত নেপালগঞ্জে তাঁর ‘মা গঙ্গা ফিস ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মগরাহাট থানার চকদহের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায় এবং বেআইনি ইলিশ উদ্ধার করে।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ সুপার বিশপ সরকার জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট ওজনের চেয়ে কম ওজনের ইলিশ ধরা বেআইনি। ধরা পড়ার পর পুলিশ আইন মেনে মৎস্য বিভাগকে খবর দেয় এবং মাছগুলো নিলামের জন্য পাঠায়। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর শ্রমিকেরা নিলাম প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। পুলিশ সুপার এই পুরো ঘটনা নিয়ে ছড়ানো সামাজিক মাধ্যমের বার্তাগুলিকে সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করেছেন।
ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নিজেই ফেসবুক পোস্টে স্বীকার করেছেন যে তিনি খোকা ইলিশ নিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, যদি কোনো বেআইনি দ্রব্য কোথাও পাওয়া যায়, তবে তিনি কেন তা কিনবেন না? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এই ধরনের যুক্তিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন।
এই ঘটনায় খোকা ইলিশ ধরার জন্য মগরাহাট থানায় এবং নিলামে বাধা দেওয়ার জন্য ডায়মন্ড হারবারে আলাদা করে মামলা শুরু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।