অমানবিক, ওড়িশায় ড্রেন থেকে উদ্ধার ১০ বছরের নাবালিকার নগ্ন দেহ, কারা ঘটাল এই নৃশংস কাণ্ড

এক ১০ বছরের স্কুলছাত্রীর নগ্ন ও রক্তাক্ত দেহ ড্রেন থেকে উদ্ধারের ঘটনায় ওড়িশার অঙ্গুল জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিশুটির শরীরে একাধিক মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা দেখে মনে করা হচ্ছে তাকে পাশবিক নির্যাতন করার পর খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম।

জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী শনিবার বিকেলে খেলতে গিয়েছিল, এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না মেলায় পরিবার পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ জানায়। রবিবার সকালে গ্রামের মানুষ ড্রেনে শিশুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

শরীরে পাশবিক নির্যাতনের চিহ্ন
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির শরীর ছিল ক্ষতবিক্ষত। তার গলা ও মুখে এতটাই আঘাত ছিল যে তাকে চেনা যাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, শিশুটির কান ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে এবং চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। এই পাশবিক দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত গ্রামবাসী। ক্ষোভের মুখে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

খবর পেয়ে অঙ্গুল জেলার এসপি রাহুল জৈন বৈজ্ঞানিক তদন্তকারী দল ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে বলেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পুলিশ সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। অপরাধীরা কোনওভাবেই ছাড় পাবে না।” পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা (নম্বর ১৪/২০২৫) নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।