উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বড় চমক, ভোট দেবে না দুই গুরুত্বপূর্ণ দল, বিজেপি কি পেল বিরাট সুবিধা

উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল দুই প্রধান আঞ্চলিক দল, বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এই দুই দলের পক্ষ থেকে সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে শাসক এনডিএ-এর খানিকটা সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এবারের নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-এর প্রার্থী হলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া শিবিরের প্রার্থী হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি. সুদর্শন রেড্ডি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে। এর আগে সোমবার শাসক ও বিরোধী উভয় শিবিরই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে শেষ মুহূর্তের রণনীতি ঠিক করে।
বিজেডি-এর ‘সম-দূরত্ব’ নীতি
ওড়িশার প্রধান বিরোধী দল বিজেডি জানিয়েছে, বিজেপি এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন উভয় শিবির থেকেই সমান দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়ক। সেই কারণেই ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দলের সাংসদ সস্মিত পাত্র। তিনি বলেন, “বিজেডি-এর লক্ষ্য শাসক ও বিরোধী, উভয় জোটের থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখে ওড়িশার সাড়ে চার কোটি নাগরিকের উন্নতি সাধন করা।”
ইউরিয়া সংকট নিয়ে বিআরএস-এর প্রতিবাদ
অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার আঞ্চলিক দল বিআরএস-এর কার্যকরী সভাপতি কে.টি. রামা রাও জানিয়েছেন, রাজ্যে ইউরিয়ার চরম ঘাটতি নিয়ে কৃষকদের প্রতিবাদকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরতেই তাঁরা ভোট থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বা বিজেপি, কারোরই এই সমস্যা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেন, ইউরিয়া সংগ্রহের জন্য কৃষকদের লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে এবং পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে হাতাহাতিও বেঁধে যাচ্ছে। এই কারণেই বিআরএস নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই শারীরিক কারণ দেখিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়। তাই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই এই পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।