কর্ণাটকে ভয়াবহ ঘটনা, প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, ‘ওকে শেষ করে দাও,’ বলে চিৎকার,

কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলায় এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুন করার চেষ্টা করেন স্ত্রী। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে এই নৃশংস পরিকল্পনা করেন তিনি। যদিও শেষ মুহূর্তে স্বামী কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে এবং তাঁর প্রেমিক পলাতক। এই ঘটনা পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ভয়াবহ পরিকল্পনা
কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলার আক্কামাহাদেবী নগরে ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ জানায়, ৩৬ বছরের বিরাপ্পা মায়াপ্পা পূজারি তাঁর স্ত্রী সুনন্দা ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সুনন্দা সম্প্রতি সিদাপ্পা কাটাকারে নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামীর বিরাপ্পাকে ‘পথের কাঁটা’ মনে করে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সুনন্দা। এই কাজে তাকে সাহায্য করে প্রেমিক সিদাপ্পা ও তার এক সহকারী।

চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে ছেলের
ঘটনার রাতে বিরাপ্পা ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে সুনন্দা তাঁর বুকের ওপর বসে গলা ও যৌনাঙ্গ টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। সেই সময় তিনি চিৎকার করে প্রেমিক সিদাপ্পাকে বলেন, “ওকে শেষ করে দাও!”।

এই চিৎকারে বিরাপ্পার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে কোনোমতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। স্বামী-স্ত্রীর এই ধস্তাধস্তির শব্দে বাড়ির মালিকের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি এসে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। একই সময়ে বিরাপ্পার ৮ বছরের ছেলে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেয়। বাড়ির মালিককে ঢুকতে দেখে সিদাপ্পা ও তার সহকারী দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হলো পরিকল্পনা
ঘটনার পর সিদাপ্পা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেই ভিডিওতে সে অভিযোগ করে যে সুনন্দাই স্বামীকে হত্যার জন্য তাকে এই কাজে জড়িয়েছে। ভিডিওতে সুনন্দার কণ্ঠস্বরও শোনা যায়। এই ভিডিও এবং বিরাপ্পার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুনন্দাকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, সিদাপ্পা এখনো পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার জন্য জোর তদন্ত চালাচ্ছে।

আহত বিরাপ্পাকে দ্রুত ইন্ডি টাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় বিরাপ্পার পরিবার ও দুই সন্তান চরম আতঙ্কে রয়েছে।