“বাংলাদেশের মতো একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে…”-দাবি নেপালের প্রতিবাদী শিক্ষার্থীর

নেপালে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স-এর মতো সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের পর দেশজুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, যারা ‘জেনারেশন-জেড’ নামে পরিচিত, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে। কাঠমান্ডুর সংসদ ভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে এক বিক্ষোভকারী ছাত্র, আশীর্বাদ রাজ, বলেন, “কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলাম, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে। আমার অনেক সহকর্মী আহত হয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। নেপালে ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং আমরা সরকারের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। এই দমন-পীড়ন আমাদের আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে পারবে না।”

আশীর্বাদ রাজ আরও জানান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার তরুণদের মতো তাঁরাও দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চান। তিনি বলেন, “আমরা সবাই পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলাম। আমাদের হাতে কোনো রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল না।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, কিছু রাজনৈতিক দল এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কাঠমান্ডুতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসেন। তাঁরা কাঁটাতার ভেঙে সংসদ ভবন ঘেরাও করার চেষ্টা করলে দাঙ্গা পুলিশকে পিছু হটতে হয়। এরপর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান নিক্ষেপ করে। কাঠমান্ডু জেলা অফিসের মুখপাত্র মুক্তিরাম রিজাল জানিয়েছেন, নেপালে স্থানীয় সময় রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।