শ্যালিকার প্রেমে অন্ধ জামাইবাবু, তৃতীয় বিয়ের পরেই চরম পরিণতি যুবকের! যা ঘটেছিলো… জানলে আঁতকে উঠবেন

মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলায় এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ কুয়ো থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে, এটি একটি পরকীয়া ও প্রতিশোধস্পৃহাজনিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় মৃত ব্যক্তির তৃতীয় স্ত্রী, তার প্রেমিক এবং খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মৃত ভাইয়ালাল রাজাক-এর (৬০) ব্যক্তিগত জীবন ছিল বেশ জটিল। তার প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। দ্বিতীয় স্ত্রী গুড্ডি বাই-এর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকলেও, নিঃসন্তান হওয়ায় তিনি গুড্ডি বাইয়ের ছোট বোন মুন্নি-কে বিয়ে করেন। মুন্নির সঙ্গে বিয়ে হলেও, তিনি স্থানীয় প্রপার্টি ডিলার নারায়ণ দাস কুশওয়া-র সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মুন্নি ও নারায়ণ সারাজীবন একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করেন এবং ভাইয়ালালকে পথের কাঁটা হিসেবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গত ৩০ আগস্ট রাতে ভাইয়ালাল তার নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখনই মুন্নির প্রেমিক নারায়ণ তার সঙ্গী ধীরজকে নিয়ে সেখানে আসে। তারা লোহার রড দিয়ে ভাইয়ালালের মাথায় সজোরে আঘাত করে তাকে খুন করে। এরপর তার দেহটি একটি কম্বলে মুড়ে, চটের ব্যাগে ভরে গ্রামের একটি কুয়োয় ফেলে দেয়।

পরের দিন সকালে ভাইয়ালালের দ্বিতীয় স্ত্রী গুড্ডি বাই কুয়োয় জল তুলতে গেলে বস্তাবন্দী দেহটি দেখতে পান। গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বস্তাটি উদ্ধার করে এবং ভাইয়ালালের দেহ শনাক্ত করে।

পুলিশি তদন্ত
পুলিশ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা করে। পুলিশ আধিকারিক মতিউর রহমান জানান যে, জেরার মুখে মুন্নি, নারায়ণ ও ধীরজ তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে।