একই বুথে ৩০ জন ‘ভুতুড়ে’ ভোটার, শুরু হলো রাজনৈতিক বিতর্ক

বারুইপুরের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর বিধানসভায় ‘ভুতুড়ে ভোটার’ নিয়ে বিতর্ক সামনে এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সাগরের রামকরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের খানসাহেব আবাদ এলাকার ৬০ নম্বর বুথে ৩০ জনেরও বেশি মৃত ভোটারের নাম এখনও তালিকায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে কয়েক জন ভিন রাজ্যের বাসিন্দা বলেও দাবি করা হয়েছে।

মৃতদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বারবার পঞ্চায়েত এবং বিএলও-কে (বুথ লেভেল অফিসার) জানানোর পরেও ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। মৃত অচিন্ত্য রানার ভাই হরেকৃষ্ণ রানা বলেন, “আমার দাদা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সমস্ত সরকারি কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ভোটার তালিকায় তাঁর নাম জীবিত হিসাবে রয়েছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।” একই অভিযোগ করেছেন মৃত চন্দন মণ্ডলের ছেলে সায়ন মণ্ডলও।

এই ঘটনা সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদল কারচুপি করে মৃতদের নাম তালিকায় রেখেছে, যাতে তারা এই ‘ভুতুড়ে ভোটার’দের কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অরুণাভ দাস বলেন, “তৃণমূলের সম্পদ এই ভুতুড়ে ভোটার। আমরা চাই, দ্রুত এই তালিকা সংশোধন করা হোক, না হলে বিজেপি আন্দোলনে নামবে।”

অন্যদিকে, তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছে। সাগর ব্লক যুব তৃণমূলের সম্পাদক সন্দীপ পাত্র জানান, “দলের পক্ষ থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলি দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে তার দায় কমিশনের।”

কাকদ্বীপ মহকুমা এবং সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত এই ‘ভুতুড়ে ভোটার’দের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।