পিসির সঙ্গে চুটিয়ে সঙ্গম ভাইপোর! দেখে ফেলেছিলেন স্বামী, ‘পথের কাঁটা’ সরাতে যা করলেন যুবতী…. ফাঁস সবটাই!

উত্তরপ্রদেশের কানপুরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পিসি এবং ভাইপোর সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন এক প্রৌঢ়। এর জেরেই সংসারে নিত্যদিনের অশান্তি। অবশেষে পথের কাঁটা স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে নৃশংসভাবে খুন করে তার স্ত্রী এবং ভাইপো। খুনের প্রায় দশ মাস পর বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যক্তির কঙ্কাল। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে।
কানপুরের বাসিন্দা শিববীর সিং (৫০)। তার স্ত্রী লক্ষ্মী এবং ভাইপো অমিত সিংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। শিববীর এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিলেন, যার ফলে তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি হত। শিববীরের মা সাবিত্রী দেবী জানান, দশ মাস আগে শিববীর কাজের সূত্রে গুজরাটে গিয়েছিলেন বলে তার স্ত্রী জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা যায়নি, ফোনও বন্ধ ছিল।
শিববীরের মা-এর সন্দেহ হওয়ায় তিনি গত ১৯ আগস্ট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ লক্ষ্মী ও অমিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দীর্ঘ জেরায় তারা দুজনেই ভেঙে পড়ে এবং খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। পুলিশ জানায়, গত দশ মাস ধরে তারা এই ঘটনাটি লুকানোর জন্য নানা মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিল। অবশেষে তাদের ফোন ট্র্যাক করে এবং লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর সত্য সামনে আসে।
পুলিশি জেরায় জানা যায়, স্ত্রী লক্ষ্মী মাদক মেশানো চা খাইয়ে শিববীরকে অজ্ঞান করেছিলেন। এরপর ভাইপো অমিত কুড়ুল দিয়ে শিববীরকে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেছিলেন। খুনের পর তারা দুজনে মিলে দেহটি বাড়ির পিছনের জমিতে পুঁতে দেয়।
রবিবার পুলিশ সেই স্থান থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। কঙ্কালের সঙ্গে একটি লকেটও পাওয়া যায়, যা পরিবারের সদস্যরা শিববীরের বলে শনাক্ত করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।