ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন! জেলের ভিতরে কোন কাজ করছেন দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্না? দৈনিক মজুরি কত?

যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে বেঙ্গালুরুর পরাপ্পানা আগ্রাহারা কেন্দ্রীয় কারাগারে লাইব্রেরি ক্লার্কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এই কাজের জন্য তাকে প্রতিদিন ৫২২ টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে।
জেল কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী, প্রজ্বল রেভান্নার মূল কাজ হলো বন্দিদের বই দেওয়া এবং তাদের দ্বারা ধার নেওয়া বইগুলির হিসাব রাখা। নিয়ম অনুযায়ী, একজন বন্দিকে মাসে অন্তত ১২ দিন কাজ করতে হয়। প্রজ্বল ইতিমধ্যেই তার প্রথম দিনের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
গত মাসে মাইসুরুর এক ৪৭ বছর বয়সী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও রেকর্ড করার অপরাধে আদালত রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি পেন ড্রাইভে তার তৈরি করা একাধিক অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা সামনে আসে। রেভান্না অবশ্য দাবি করেছিলেন যে ভিডিওগুলো নকল।
কিন্তু আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (FSL) রিপোর্ট, ভিডিও প্রমাণ, এবং ২৩ জন সাক্ষীর বয়ান বিবেচনা করা হয়। অভিযোগকারী, একজন পরিচারিকা, জানিয়েছিলেন যে ২০২১ সালে হাসান ফার্ম হাউস এবং বেঙ্গালুরুর বাসভবনে রেভান্না তাকে দু’বার ধর্ষণ করেন। রেভান্না এই ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে রেকর্ডও করেছিলেন।
তদন্ত চলাকালীন, ওই পরিচারিকা রেভান্নার গণিকাড়া খামারবাড়ির ছাদে লুকিয়ে রাখা তার শাড়িটি প্রমাণ হিসেবে জমা দেন। ফরেনসিক রিপোর্টে সেই শাড়িতে বীর্যের উপস্থিতি মেলে, যা ডিএনএ রিপোর্টে রেভান্নার সঙ্গে মিলে যায়। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণের কারণেই রেভান্নার বিরুদ্ধে মামলা গঠন করা সহজ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। কর্ণাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) তার বিরুদ্ধে প্রায় ২,০০০ পৃষ্ঠার একটি চার্জশিট জমা দিয়েছিল।