মাদ্রাসায় কিশোরকে যৌন নির্যাতনের পরে খুনের অভিযোগ, ধৃত ৫ পড়ুয়া

ওড়িশার একটি মাদ্রাসায় এক কিশোরকে নৃশংসভাবে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদ্রাসার এক সিনিয়র ছাত্রসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, নিহত ছাত্রটি মাদ্রাসার সিনিয়রদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, আর সেই কারণেই তাকে খুন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত ছাত্রটি গত কয়েকদিন ধরে মাদ্রাসার কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রের যৌন নির্যাতন ফাঁস করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছিল। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা তাকে খুনের পরিকল্পনা করে। গত ৩১ আগস্ট প্রথমবার তার ওপর হামলা হয়, কিন্তু সেবার সে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যায়।
এরপর, গত ২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তরা মাদ্রাসার একটি ঘরের ভেতরে তাকে প্রথমে যৌন নির্যাতন করে এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।
পরের দিন, ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরের বাবা-মা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে এটিকে দুর্ঘটনা মনে করলেও, পরে যৌন নির্যাতন ও খুনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ ছাত্রকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।