‘ভোট চুরি’ হয়? তাত্পর্যপূর্ণ জবাব প্রাক্তন CEC কুরেশির, জেনেনিন কি বললেন?

‘ভোট চুরি’ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলা বিতর্ককে ‘অরাজনৈতিক উক্তি’ বলে উড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনাররা। তবে একই সঙ্গে তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি অবশ্যই রয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে সাউথ কনক্লেভের মঞ্চে এই বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
অশোক লাভাসা (প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার):
অশোক লাভাসা বলেন, “ভারতে এখন যে নির্বাচন হয়, তা প্রায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ। ট্র্যাক রেকর্ড ঘাটলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ আমার কাছে একটি ‘অরাজনৈতিক উক্তি’ বলেই মনে হয়। কারণ, কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা জানার কোনো উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, এখানে মূল বিষয়টি হলো নির্বাচন কমিশনের সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা।”
এস ওয়াই কুরেশি (প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার):
এস ওয়াই কুরেশি ‘ভোট চুরির’ অভিযোগকে রাজনৈতিক কৌশল বললেও, ভোটার তালিকার গরমিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ভোটার তালিকা বা ইলেক্টোরাল রোল নিয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন নয়। আমি সবসময়ই বলেছি যে এই অংশটি আমাদের দুর্বল দিক। যদি ইলেক্টোরাল রোল নির্ভুল না হয়, তাহলে সেই নির্বাচনের স্বচ্ছতার কোনো অর্থ থাকে না।”
ওপি রাওয়াত (প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার):
ওপি রাওয়াতও স্বীকার করেন যে, নির্বাচনে কিছু ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নির্বাচন। কিন্তু এটা ভাবা ভুল যে, ভোটের সময় কোনো গোলমাল হবে না। কিছু ঘটনা ঘটবেই।”
তবে একই সঙ্গে তাঁরা সবাই এই বিষয়ে একমত যে, বিশ্বের গণতন্ত্রগুলির নিরিখে ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা অন্যতম সেরা। ওপি রাওয়াত বলেন, “ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা এক কথায় ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নির্ভরযোগ্য বলে প্রশংসা করে।”