ভুল পেনাল্টি? রেফারিকে মাঠেই বেধড়ক মার, ঘটনায় ছড়ালো চাঞ্চল্য

ফুটবলে রেফারিকে হেনস্তার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু এবার যা ঘটল, তা যেন সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেল। সোমবার নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে সুপার ডিভিশনের ফাইনাল ম্যাচে রেফারিকে প্রকাশ্যে মাঠে ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বেলঘড়িয়া অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং খড়দা সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ চলছিল। খেলার ৭১ মিনিটের মাথায় রেফারি চরণ হেমব্রম বেলঘড়িয়ার পক্ষে একটি পেনাল্টি দেন। এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি খড়দা ক্লাবের খেলোয়াড়রা। অভিযোগ, ভুল পেনাল্টির অজুহাতে তারা রেফারিকে মাঠেই মারতে শুরু করে।

খবর অনুযায়ী, প্রথমে খড়দা সূর্য সেন স্পোর্টিং ক্লাবের কয়েকজন খেলোয়াড় রেফারিকে হেনস্তা করে। এরপর গ্যালারি থেকে কিছু দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ে এবং তারাও মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে খড়দা ক্লাবের গোলকিপার এবং একজন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো হয়।

অবশেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারধরের পরেও খেলা চলতে থাকে এবং বেলঘড়িয়া ৩-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। ম্যাচ শেষে আহত রেফারি চরণ হেমব্রমকে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আইএফএ (IFA)-এর সচিব অনির্বাণ দত্ত। তিনি বলেন, “এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। রেফারিরা মাঠে সুষ্ঠভাবে খেলা পরিচালনার জন্য আসেন। মাঠে ঢুকে এভাবে মারধর করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।”

নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে, যিনি নিজেও মাঠে উপস্থিত ছিলেন, জানান যে খড়দা ক্লাবের গোলরক্ষক রেফারিকে সজোরে লাথি মারেন এবং একজন ক্লাব কর্মকর্তাও মারধরে অংশ নেন। এই ঘটনাকে ক্রীড়া মহল থেকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।