বালি পাচারকাণ্ডে ইডির জালে কলকাতার ‘জিডি মাইনিং’! কীভাবে কোটি টাকার দুর্নীতি হতো, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!

কয়লা ও গরু পাচারের পর এবার রাজ্যে বালি পাচারের বিশাল দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার একযোগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ইডি এই চক্রের বিভিন্ন জালিয়াতির পদ্ধতি সামনে এনেছে।

কীভাবে চলে বালি পাচার চক্র?
ইডি সূত্রে খবর, এই পাচার চক্রে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক বালি ব্যবসায়ী জহিরুল আলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডি জানতে পারে, সে যে সংস্থার জন্য বালি তুলত, সেটি হলো বেহালার জিডি মাইনিং। এই চক্রের মূল কারবারিরা কীভাবে সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে এই দুর্নীতি চালাত, সেই তথ্য সামনে এনেছে ইডি।

জাল নথি ও কিউআর কোড: বালি তোলার জন্য যে সরকারি অনুমতিপত্র (সিও) লাগে, তা জাল করা হতো। এই নথিতে থাকা কিউআর কোড নকল করে সরকারি রেটের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বালি বিক্রি করা হতো।

একই নম্বর, একাধিক ট্রাক: পাচারকারীরা একটি ট্রাকের নম্বর ব্যবহার করে ৪-৫টি অন্য ট্রাকে বালি পাচার করত। একটি ট্রাক নির্দিষ্ট দূরত্ব পার হলেই, তার নম্বরটি অন্য একটি ট্রাকে বসিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে একই অনুমতিপত্রে বারবার বালি পাচার করা হতো।

সুবর্ণরেখার বালিই কেন?
ঝাড়গ্রামের সুবর্ণরেখা নদীর বালি গুণগত মানে ভালো হওয়ায় এর চাহিদা প্রচুর। কলকাতা সহ গোটা রাজ্য এবং পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডেও এই বালি পাচার করা হতো। ইডির তদন্তে জানা গেছে, নদী থেকে বালি তোলার পর তা মজুত করার জায়গায় অস্থায়ী অফিস বানিয়ে এই কারবার চালানো হতো।

ইডির এই অভিযানে বালি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও বড় রাঘববোয়ালদের নাম সামনে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।