ইন্টারনেট বিপর্যয়: লোহিত সাগরের নিচে ফাইবার কেবল কেটে দিল কারা? থমকে গেল ভারতসহ গোটা বিশ্ব!

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আচমকা ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ ইউরোপের কিছু অংশে ইন্টারনেটের গতি মারাত্মকভাবে কমে গেছে বা পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে লোহিত সাগরের নিচে থাকা একাধিক সাবমেরিন ফাইবার কেবল কেটে যাওয়ার বিষয়টি।

কী ঘটেছে?
ইন্টারনেট অবসারভেটরি নেটব্লকস জানিয়েছে, লোহিত সাগরের নিচে থাকা একাধিক ফাইবার কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা কেটে দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকেও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা মধ্যপ্রাচ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ঘাটতির বিষয়ে আগাম সতর্কও করে দিয়েছে।

কে বা কারা দায়ী?
এই বিশাল মোটা ফাইবার কেবলগুলো কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

প্রাকৃতিক কারণ: অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণে বা জাহাজের নোঙরের আঘাতে এই কেবলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সন্দেহ: তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ সন্দেহের তীর হুথি বিদ্রোহীদের দিকে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে জঙ্গিরা সমুদ্রের নিচে থাকা গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পরিকাঠামোকে নিশানা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ক্ষতির পরিমাণ
এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। সৌদি আরবের জেদ্দার কাছেই কেবল সিস্টেমের বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে নেটব্লকস। সমুদ্রের তলদেশে থাকা এই সাবমেরিন কেবলগুলোই বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করে। এই গুরুত্বপূর্ণ কেবলগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে টাটা গ্রুপ।

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে যে ইন্টারনেট বিভ্রাট তৈরি হয়েছে, তা দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে। কিন্তু এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।