বালির কারবারে এবার ইডির হানা! ঝাড়গ্রামের পর বেহালা, কল্যাণীতেও তল্লাশি, কী কী নথিপত্র হাতে পেল ইডি?

বালি পাচারের অভিযোগের তদন্তে এবার সরাসরি মাঠে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার সকাল থেকে ইডির একাধিক টিম একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর, বেহালার জেমস লং সরণি, বিধাননগর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এই তল্লাশি অভিযান চলছে।
কোথায় কোথায় চলছে তল্লাশি?
সকালে ইডির প্রথম দলটি ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক প্রভাবশালী বালি ব্যবসায়ী শেখ জহিরুল আলির বাড়িতে হানা দেয়। জানা গেছে, সুবর্ণরেখা নদীর পাশে তার বিশাল তিনতলা বাড়ি রয়েছে এবং এই নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালি পাচারের অভিযোগ রয়েছে। জহিরুল একসময় ভিলেজ পুলিশ ছিলেন, পরে চাকরি ছেড়ে বালি ব্যবসায় নেমে দ্রুত সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। তার বাড়ি ও গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখছে।
একই সময়ে ইডির আরেকটি দল বেহালার জেমস লং সরণিতে জিডি মাইনিং নামে একটি বালি সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই সংস্থার আরেকটি অফিস রয়েছে বিধাননগর, সেক্টর-ফাইভ-এ, সেখানেও ইডি অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়াও, পশ্চিম মেদিনীপুরের বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কেন এই অভিযান?
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে অবৈধ বালি পাচারের অভিযোগ উঠছিল, যার কারণে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে ইডি। সেই মামলার সূত্র ধরেই ইডির মোট ৪-৫টি দল এই অভিযানে নেমেছে। এই প্রথমবার বালি পাচারের মতো বিষয়ে ইডি সরাসরি তদন্ত শুরু করেছে, যা এই কারবারে জড়িত বড় বড় রাঘববোয়ালদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।