বিজয়ের সঙ্গে ডিএমকে সরকারের সংঘাত চরমে, তামিলনাড়ু রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা

তামিল সিনেমার সুপারস্টার এবং তামিলাগা বেত্ত্রি কঝাগম (TVK)-এর প্রতিষ্ঠাতা থালাপথি বিজয় ও ক্ষমতাসীন দ্রাবিড় মুন্নেত্র কঝাগম (DMK) সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত এখন চরমে। ডিএমকে-এর একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বিজয়ের রাজনৈতিক উত্থানকে ‘নীতিহীন’ এবং ‘অপরিপক্ক’ বলে কটাক্ষ করার পরই এই সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।
ডিএমকে-এর আক্রমণ
ডিএমকে-এর মন্ত্রী টি.কে.এস. এলাঙ্গোভান বিজয়ের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “বিজয় কোনো নীতি ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।” তিনি বিজয়ের দলকে ‘অনভিজ্ঞ’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ বলে মন্তব্য করেন। ডিএমকে দাবি করছে, তাদের দ্রাবিড় আদর্শের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে, যা বিজয়ের দলের নেই।
বিজয়ের পাল্টা জবাব
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে টিভিকে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিজয় ডিএমকে-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, পারিবারিক রাজনীতি এবং আইন-শৃঙ্খলার ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন। গত মার্চ মাসে তার দলের প্রথম সাধারণ সভায় তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিনকে নিশানা করে বলেন, “শুধু নামে সাহস থাকলেই হবে না, কাজেও তা দেখাতে হবে।” তিনি ডিএমকে সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে নারী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য সমালোচনা করেন।
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
বিজয় ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে-র বিকল্প হিসেবে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নিজেকে তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি ২০২৬ সালের নির্বাচনে কোনো জোট ছাড়াই মাদুরাই পূর্ব থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, ডিএমকে-র ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন আত্মবিশ্বাসী যে ২০২৬ সালে যে কোনো বিরোধী দল থাকুক না কেন, ডিএমকে জয়ী হবে।
বিজয়ের বিশাল ফ্যান ফলোয়িং এবং যুব সমর্থন তাকে একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে। তবে, ডিএমকে-এর শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক অবস্থানকে তিনি কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন, তা সময়ই বলে দেবে।