অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন স্বামীকে মেরে কুয়োয় ফেলল স্ত্রী

মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুর জেলার সাকারিয়া গ্রামের একটি কুয়ো থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিহতের স্ত্রী তার প্রেমিককে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। একাধিক বিয়ের জটিলতা এবং অবৈধ সম্পর্কের নির্মম পরিণতিতে পুরো গ্রাম হতবাক।
ঘটনার পেছনের গল্প
নিহত ব্যক্তির নাম ভাইয়ালাল রাজাক (৬০)। তিনি তিনবার বিয়ে করেছিলেন। তার তৃতীয় স্ত্রী মুন্নি (ওরফে বিমলা) স্থানীয় এক জমি দালাল নারায়ণ দাস খুশওয়াহা ওরফে লাল্লুর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের সম্পর্ক এতই গভীর হয়ে যায় যে তারা ভাইয়ালালকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
হত্যাকাণ্ড ও রহস্যভেদ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুন্নি ও লাল্লু ২৫ বছর বয়সী এক শ্রমিক ধীরজকে ভাইয়ালালকে খুন করার দায়িত্ব দেয়। গত ৩০ আগস্ট রাতে লাল্লু ও ধীরজ ভাইয়ালালের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তাকে খুন করে। এরপর তারা মৃতদেহটি একটি বস্তায় ভরে কম্বল ও শাড়ি দিয়ে মুড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে গ্রামের একটি কুয়োয় ফেলে দেয়।
কিন্তু পরদিন সকালে ভাইয়ালালের দ্বিতীয় স্ত্রী গুড্ডি বাঈ কুয়োর জলে স্বামীর বস্তাবন্দী দেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহ ও ভাইয়ালালের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে একাধিক আঘাতের কথা জানা যায়। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ মুন্নি, লাল্লু এবং ধীরজকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ওই গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং একাধিক বিবাহ ও অবৈধ সম্পর্কের জটিলতা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তা আবারও প্রমাণ করল।