মোদী ম্যাজিকে কি কাজ হচ্ছে না বঙ্গে, লোকসভা ভোটের রেকর্ড বলছে অন্য কথা,

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় ঘন ঘন সফর শুরু করেছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, লোকসভা ভোটে ব্যর্থতার পর এই কৌশল কি আদৌ কাজ করবে? গত লোকসভা নির্বাচনে (২০২৪) পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর একাধিক সভা সত্ত্বেও আসন সংখ্যা কমে যাওয়ায় দলের অন্দরেই এখন এই নিয়ে আলোচনা চলছে।
মোদী-শাহের কৌশল
গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ছিল বিজেপি নেতাদের পাখির চোখ। মোদী-শাহরা বাংলাতে আসন সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই ২৩টি জনসভা ও একটি রোড শো করেছিলেন। তবে ফলাফল ছিল হতাশাজনক— ২৩টি সভার মধ্যে বিজেপি মাত্র ৭টি আসনে জয় পায়, যার মধ্যে ৫টিই উত্তরবঙ্গের। দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর,পুরুলিয়া, বোলপুর, হাওড়া, আরামবাগ, হুগলি, বারাকপুর, বারাসাত, ঝাড়গ্রাম, যাদবপুর এবং মথুরাপুরে মোদীর সভা হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি খাতা খুলতে পারেনি।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি
এই ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি এখন থেকেই মোদীকে মুখ করে মাঠে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, দুর্গাপুর ও দমদমে মোদীর সভা হয়েছে এবং আরও ২৫-৩০টি সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ফুটবল খেলাকে হাতিয়ার করে ‘মোদী কাপ’ আয়োজনের মতো ভিন্ন কৌশলও ভাবা হচ্ছে।
দলের অন্দরের অসন্তোষ
দলের একাংশের মতে, নিচুতলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং আদি-নব্য কোন্দলের কারণে মোদীর এই ম্যারাথন প্রচারের ফল মাঠে মারা যেতে পারে। গত লোকসভা ভোটের রেকর্ড তুলে ধরে দলের পুরনো নেতারা বলছেন, বাইরে থেকে যত বড় নেতাই আসুন না কেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান না হলে ভোটবাক্সে এর প্রতিফলন দেখা যাবে না। এখন দেখার, এবারের লাগাতার প্রচার বিজেপির ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারে কি না।