“আমাদের একটা অসম লড়াইয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো”-জানালেন চাকরিহারা রাধারানি

দীর্ঘ ১০৬ মাসের অপেক্ষার পর অবশেষে রবিবার রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যেমন নতুন পরীক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন, তেমনই রয়েছেন ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হওয়া বহু ‘যোগ্য’ শিক্ষক। এদেরই একজন বাঁকুড়ার রাধারানি মুসিব, যিনি চাকরি হারিয়ে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন।

২০১৬ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রাধারানি চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই চাকরি চলে যাওয়ায় আজ তিনি আবার নতুন করে পরীক্ষার্থী। বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজে পরীক্ষা দিতে এসে তিনি বলেন, “গত ৪-৫ মাসে যা যা ঘটল, আমাদের আর কী-ই বা বলার থাকতে পারে। এটা অন্যায়, এবং সেই অন্যায় মেনেই আজ আমাদের এই পরীক্ষার লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে।”

‘এটা অসম লড়াই’
রাধারানি মনে করেন, এই ধরনের ‘ওপেন টু অল’ পরীক্ষা নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্যও অন্যায়। তিনি বলেন, “যতটা পেরেছি, পড়েছি। কিন্তু এটা কি সম্ভব? আমাদের একটা অসম লড়াইয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। আগের বার তো আমরা মেধার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছিলাম।”

চাকরি এবং সম্মান দুটোই হারানোর কষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের চাকরি গেল, মানসম্মান গেল। সেগুলো কি আর ফিরে পাব?”

রাধারানির মতো হাজার হাজার শিক্ষক আজ আবারও এই পরীক্ষায় বসতে বাধ্য হচ্ছেন, যারা এত দিন ধরে স্কুলে পড়িয়েছেন এবং হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েছেন। এই ঘটনা রাজ্য জুড়ে এক গভীর বেদনা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।