‘প্রতিবন্ধী’ তরুণীকে ‘ধর্ষণ’, অভিযোগ TMC কর্মীর বিরুদ্ধে, তোলপাড় বালুরঘাটে!

দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এক বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীর ওপর পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা তরুণী স্থানীয় এক তৃণমূল নেত্রীর ভাইঝি। এই ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবার প্রথমে সালিশি সভার মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটে রবিবার, যখন ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী বাড়িতে একা ছিলেন। বাবা-মা দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করায় তিনি দিদিমার সঙ্গে থাকেন। দিদিমা কাজের জন্য বাইরে গেলে ওই তরুণী বাড়িতে একা ছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে প্রতিবেশী ওই তরুণ ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে এবং গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে। তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর মঙ্গলবার তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মাকে জানানো হয়। এরপরই বালুরঘাট থানায় যোগাযোগ করা হয় এবং তরুণীকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের পরিবার প্রথমে গ্রামের ‘মাতব্বর’দের ডেকে সালিশি সভার মাধ্যমে ঘটনাটি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু নির্যাতিতার মামি তাতে রাজি হননি এবং পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নির্যাতিতার মামি বলেন, “আমার ভাগ্নি ভালোভাবে কথা বলতে পারে না এবং হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করে। ওর এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওরা এমন জঘন্য কাজ করেছে। আমি এর কঠোর শাস্তি চাই।”

ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ থাকলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছেন যে অপরাধীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হবে না। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মলয় মণ্ডল বলেন, “এখানে রাজনীতির কিছু নেই। অন্যায় করলে তার শাস্তি হবেই। পুলিশ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে, আমরাও তা সমর্থন করব।”

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। বালুরঘাট থানার ডিএসপি (সদর) বিক্রমপ্রসাদ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছেন এবং অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি চলছে।