“সরকার দাবিদাওয়া মানছে না”-একসঙ্গে ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর গণইস্তফা, সংকটে পরিষেবা

চাকরির নিশ্চিতকরণ, বেতন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য দাবি পূরণের দাবিতে ছত্তিসগড়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের (NHM) ১৪ হাজারেরও বেশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী গণইস্তফা দিয়েছেন। গত ১৮ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে রয়েছেন এই কর্মীরা, যার ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে।

দাবি ও পাল্টা পদক্ষেপ

এনএইচএম কর্মীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চাকরি নিশ্চিত করা এবং গ্রেড পে বৃদ্ধি। তাদের এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকার চারটি দাবি মেনে নিলেও কর্মীরা কাজে যোগ দেননি বলে অভিযোগ। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার ছত্তিসগড় সিভিল সার্ভিসেস কন্ডাক্ট রুলস এবং মানবসম্পদ নীতি ভঙ্গের অভিযোগে ২৫ জন কর্মীকে বরখাস্ত করে। বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন এনএইচএম কর্মচারী সংঘের সভাপতি অমিত কুমার মিরি এবং সাধারণ সম্পাদক কৌশলেশ তিওয়ারি।

কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে এনএইচএম কর্মীরা গণহারে ইস্তফা দিতে শুরু করেন। শুক্রবার পর্যন্ত ১৪,৬৭৮ জন কর্মী তাদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। কর্মচারী সংঘের সভাপতি অমিত কুমার মিরি অভিযোগ করেন, “সরকার আসলে সমস্যার সমাধান চায় না, তাই আলোচনায় বসতে রাজি নয়।”

তবে এনএইচএম মিশন ডিরেক্টর প্রিয়াঙ্কা শুক্লা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গোপনীয় রিপোর্ট মূল্যায়নে স্বচ্ছতা, ৩০ দিনের সবেতন ছুটি, ২৭% বেতন বৃদ্ধি এবং ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস স্বাস্থ্য বিমার দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এর পরেও আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন, যা মেনে নেওয়া যায় না।”

স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব

কর্মীদের এই গণইস্তফার ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের একাধিক আধিকারিক স্বীকার করেছেন যে যক্ষ্মার ওষুধ সরবরাহ, টিকাকরণ এবং নবজাতকের চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবা থমকে গেছে। এই অচলাবস্থা যত দ্রুত সম্ভব মেটানোর চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর।