লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পে কাটমানি! অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার অভিযোগ, চাঞ্চল্য কৃষ্ণগঞ্জে

লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা নিয়ে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাটিয়ারী গ্রামে। অঞ্জনা চক্রবর্তী নামে এক গৃহবধূ অভিযোগ করেছেন যে, গত দুই বছর ধরে তার প্রাপ্য টাকা ঢুকছে প্রতিবেশী শ্যামলী মহলদার এবং তার স্বামীর যৌথ অ্যাকাউন্টে। এর চেয়েও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, এবার প্রাপ্য টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তার কাছে অর্ধেক ভাগ, অর্থাৎ কাটমানি চাওয়া হয়েছে।

অঞ্জনা চক্রবর্তী জানান, মাসের পর মাস তিনি বিডিও অফিস এবং ব্যাঙ্কে ঘুরেও কোনো সমাধান পাননি। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে জানতে পারে যে, তার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অন্য একটি অ্যাকাউন্টের তথ্যের গরমিল রয়েছে। অঞ্জনা বলেন, প্রথমবার শ্যামলী মহলদার ২১,৫০০ টাকা স্বেচ্ছায় ফেরত দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার যখন তিনি টাকা তুলতে যান, তখন শ্যামলী নাকি অর্ধেক টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে অঞ্জনার প্রশ্ন, “নিজের প্রাপ্য টাকা তুলতে কাটমানি দেব কেন?”

এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। কৃষ্ণগঞ্জ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য অভিযোগ করে বলেন, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। চার বছর ধরে এক মহিলার অ্যাকাউন্ট ঠিক করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা।” অন্যদিকে, অভিযুক্ত শ্যামলী মহলদার ভাগ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও স্বীকার করেছেন যে, অঞ্জনার লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা তার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে।

এই বিতর্কের মধ্যেই লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকার পরিমাণ বাড়ানোর খবর শোনা যাচ্ছে। বর্তমানে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতির মহিলারা ১২০০ টাকা পান। শোনা যাচ্ছে, এই ভাতা দ্বিগুণ হয়ে সাধারণ শ্রেণীর জন্য ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতির জন্য ১৮০০ টাকা হতে পারে। পুজোর আগেই এই নতুন সুবিধা কার্যকর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এখন দেখার বিষয়, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিডিও অফিসের তৎপরতায় অঞ্জনা চক্রবর্তীর সমস্যা দ্রুত সমাধান হয় কিনা।