ভোটার অধিকার যাত্রার পর এবার তেজস্বীর নতুন যাত্রা, বিহারে INDIA জোটে ভাঙন,

কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শেষ হওয়ার পর এবার নিজের ‘যাত্রা’ শুরু করতে চলেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদব। বিহারে আসন্ন নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপটি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর যাত্রার পর কংগ্রেসের আক্রমণাত্মক মনোভাব জোটের শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
তেজস্বীর যাত্রার লক্ষ্য
জানা গেছে, রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিহারের যে ১৩টি জেলায় পৌঁছাতে পারেনি, তেজস্বী এবার সেইসব জেলাতেই যাবেন। আরজেডি-র মুখপাত্র চিত্ররঞ্জন গগন জানিয়েছেন, এই যাত্রার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। একইসঙ্গে, এটি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম প্রধান শরিক হিসেবে আরজেডি-র রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতা
রাহুলের যাত্রার পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে আরজেডি-র সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাহুলের যাত্রার সময় তেজস্বীকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা থেকে বিরত ছিল কংগ্রেস। এমনকি, জনসভার মঞ্চের পোস্টারেও তেজস্বী বা তাঁর বাবা লালু প্রসাদ যাদবের ছবি ছিল না।
এই পরিস্থিতিতে, বিহারের বৃহত্তম বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও, আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনার জন্য আরজেডি-কে দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হবে। এই বিষয়ে আরজেডি-র এক নেতা বলেন, তেজস্বী খুব শীঘ্রই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন।
অন্যদিকে, আরজেডি ২০০-এর বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলেও, কংগ্রেস কমপক্ষে ৭০টি আসন চাইছে। একইসঙ্গে সিপিআইএমএল, সিপিআই, সিপিএম এবং ভিআইপি-র মতো শরিক দলগুলোও তাদের দাবির কথা জানিয়েছে, যা জোটের মধ্যে আসন বণ্টন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে।