কল্যাণ ‘ভুল হয়েছে’ বলতেই…! ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেল অযোগ্যরা, বিচারপতিদের কড়া মন্তব্য

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ধাক্কা খেল অযোগ্য প্রার্থীরা। নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তাদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অযোগ্যরা ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল, কিন্তু আদালত একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল।
বিচারপতিদের কড়া মন্তব্য
মামলার শুনানিতে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এসএসসি-কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আপনাদের অফিসাররা কেন কাঠগড়ায় উঠবেন না? কেন আপনাদের অফিসারদের চাকরি যাবে না?” সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন অযোগ্য প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসএসসি-র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এত লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে কে অযোগ্য আর কে নয়, তা বাছাই করা সম্ভব হয়নি, তাই ভুলবশত অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এর উত্তরে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “আপনাদের অফিসাররা এত গুরুতর ভুল কী করে করেন? তারপরেও তাঁদের চাকরি কী করে যায় না?” যখন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাট্টা করে বলেন, “তাহলে সব দাগিদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়ে দিন,” তখন বিচারপতি বলেন, “তাহলে আমরা কি রেকর্ড করব যে এসএসসির সম্মতি নিয়ে আমরা পরীক্ষায় বসতে দিচ্ছি?” এই কথায় আইনজীবী পিছিয়ে যান।
হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়
দীর্ঘ শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, যখন সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার ওপর নজর রাখছে এবং অযোগ্যদের বিষয়ে পরিষ্কার অবস্থান জানিয়েছে, তখন নতুন করে এই বিষয়ে আবেদন করে কোনো লাভ হবে না। আদালত সবমিলিয়ে ৩৫০টি আবেদন খারিজ করে দেয়। তবে বাকি তিনটি নতুন আবেদন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।