ভয়ংকর খেলায় মেতেছেন ট্রাম্প, চরম বিপদে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক, কেন মোদির ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এখন চরম সংকটে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপ এবং ভারত বিরোধী নীতির কারণে এই সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। আমেরিকার একাধিক বিশিষ্ট আইনপ্রণেতা এবং প্রাক্তন শীর্ষ আধিকারিকরা এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অহংকার এবং একগুঁয়েমির কারণে বিশ্বের বৃহত্তম দুটি গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব এখন ধ্বংসের মুখে।

কেন এই টানাপোড়েন?

মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রো খান্না জানিয়েছেন, এই সমস্যার মূল কারণ খুবই সাধারণ। তার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে রাজি না-হওয়াই এই সংকটের কারণ। খান্না জানান, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করলেও ভারত এই বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এই সমস্যার সমাধানে ট্রাম্পের কোনো কৃতিত্ব নেই।

ট্রাম্পের অহংকার দায়ী?

খান্না জোর দিয়ে বলেছেন, “আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের অহংকারের কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক ধ্বংস হতে দিতে পারি না। সমস্ত ভারতীয়-আমেরিকানদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কোথায় যখন ট্রাম্প এই সম্পর্ক নষ্ট করছেন?”

তার অভিযোগ, গত ৩০ বছরের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা ভারত-মার্কিন জোটকে ট্রাম্প তার নীতির মাধ্যমে ধ্বংস করছেন। তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের এই ধরনের নীতি ভারতকে চিন এবং রাশিয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা আমেরিকার জন্য এক বড় ধাক্কা।

ভুল শুল্ক নীতি এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

খান্না আরও বলেন, ব্রাজিল ছাড়া অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় ভারতের ওপর ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক অনেক বেশি। এমনকি রাশিয়ার তেলের বৃহত্তম ক্রেতা চিনের ওপরও এত বেশি শুল্ক চাপানো হয়নি। তার মতে, এটি শুধু ভারতের চামড়া এবং বস্ত্র রফতানিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং আমেরিকার নির্মাতাদেরও ক্ষতি করছে।

ট্রাম্পের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আমেরিকার মধ্যেও তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে চিন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।