যমুনার জল ঢুকছে শ্মশানে, থমকে গেল দাহকার্য, দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে চরম বিশৃঙ্খলা

যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করে দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই বন্যায় দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান, নিগমবোধ ঘাটে, দাহকার্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে শ্মশানের একটি দেয়াল ভেঙে জল ঢুকে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যা ঘটেছিল শ্মশানঘাটে
নিগমবোধ ঘাট দিল্লির প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যস্ততম শ্মশান। প্রতিদিন এখানে ৫০ থেকে ৬০টি মৃতদেহ দাহ করা হয়। শ্মশানের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, প্রথমে শুধু বৃষ্টির জল ঢুকছিল। কিন্তু হঠাৎই একটি ৭-৮ ফুট উঁচু দেয়ালের ২ ফুট অংশ ভেঙে যায়, যার ফলে যমুনার জল দ্রুত শ্মশানের ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে শুধু সকালে শুরু হওয়া দাহকার্যগুলোই শেষ করা হয়, এরপর নতুন করে কোনো দাহকার্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উত্তর ভারতে বিধ্বংসী বন্যা
গত কয়েক দিন ধরে উত্তর ভারতজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বুধবার বন্যায় কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর আরও বজ্রপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। দিল্লি কর্তৃপক্ষ নদীর তীর থেকে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
এই বছর ভারী মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি, যার ফলে শুধু আগস্ট মাসেই উত্তর ভারতে ১৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। বহু গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলোতেও বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর। চেনাব ও তাভি নদীর জল বিপদসীমার উপরে দিয়ে বইছে, যার ফলে অনেক স্থানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।