৫০ হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্ক, ১০,০০০ কোটির বাজেট! মধ্যপ্রদেশে মহিলাদের জন্য বিরাট প্রকল্প

মধ্যপ্রদেশ সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছে। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব মহাত্মা গান্ধী নরেগার অধীনে ‘এক বাগিয়া মা কে নাম’ নামে একটি নতুন অভিযান শুরু করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায়, মহিলারা তাদের ব্যক্তিগত জমিতে ফলের গাছ লাগিয়ে স্বাবলম্বী হবেন।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য রাজ্যের ৩১,৩০০ জন মহিলাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করা। যদিও এখন পর্যন্ত ৪০,৪০৬ জন মহিলা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন, যা নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে অনেক বেশি। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে ১০০০ কোটি টাকা খরচ করছে।
এই প্রকল্পের আওতায় যোগ্য মহিলাদের গাছপালা কেনা, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া, সার, গর্ত খনন, এবং সেচের জন্য ৫০ হাজার লিটারের একটি জলের ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
‘এক বাগিয়া মা কে নাম’ প্রকল্পে প্রথমবারের মতো SIPRI সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে বৈজ্ঞানিকভাবে কোন জমিতে কোন ফলগাছ সবচেয়ে ভালো হবে, কখন গাছ লাগানো উচিত এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থা কেমন—এইসব তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, ড্রোন ব্যবহার করে প্রতিটি বাগানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়।
১৫ আগস্ট থেকে এই বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু হয়েছে এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের মোট ৩১,৩০০ জন মহিলার ব্যক্তিগত জমিতে প্রায় ৩০ লক্ষেরও বেশি ফলের গাছ লাগানো হবে।
সেরা জেলার তালিকা
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খাণ্ডোয়া জেলা সবার উপরে রয়েছে, এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে সিংগ্রাউলি। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে বেতুল, দেওয়াস এবং আগর মালওয়া। এই প্রকল্পের কার্যকারিতা নিরীক্ষণের জন্য একটি পৃথক ড্যাশবোর্ডও তৈরি করা হয়েছে। সেরা পারফর্ম করা জেলা, ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে পুরস্কৃতও করা হবে।
এই প্রকল্প শুধুমাত্র পরিবেশ সুরক্ষাই করবে না, বরং মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তাদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করবে।