‘ভারত ততক্ষণ ধর্মনিরপেক্ষ থাকবে, যতক্ষণ হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ!’ CAA প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (CAA) মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানোর পর থেকেই নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং কলকাতার ICCR-এর একটি অনুষ্ঠানে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি এই ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ওপার বাংলা থেকে আসা দলিতদের জন্য আগে কেউ ভাবেননি, এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী তাদের কথা ভেবেছেন।
সুকান্ত মজুমদার তার বক্তব্যে দেশভাগের ইতিহাস টেনে এনেছেন। তিনি বলেন, “এসসি সমাজের মানুষ যোগেন মণ্ডলের ওপর বিশ্বাস করে পাকিস্তানে থেকেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ইজ্জত বাঁচাতে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে এপারে পালিয়ে এসেছিলেন।” তার মতে, এরপর থেকেই দলিত ভাই-বোনেরা ক্রমাগত অত্যাচারিত হয়ে ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
সুকান্ত বলেন, এই শরণার্থীরা ১৯৪৭ সাল থেকে ক্রমাগত ভারতে আসছেন এবং তাদের ওপর, বিশেষ করে মহিলাদের ওপর, ক্রমাগত অত্যাচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে তারা ভারতে আসছেন, কিন্তু কেউ তাদের কথা ভাবেনি। প্রথম নরেন্দ্র মোদী ভেবেছেন এবং সিএএ আইন পাস করিয়েছেন।”
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয়টিও উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “সেকুলারিজম, প্লুরাজিম, কমিউনিজম ততক্ষণই থাকবে, যতক্ষণ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, নচেৎ থাকবে না।” এই মন্তব্যটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আবেদনের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে আসা অমুসলিম শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।