কর ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত, দাম কমবে ঘি-মাখন-টুথপেস্ট সহ বহু পণ্যের! আজ থেকে শুরু GST বৈঠক

ভারতের কর ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনের জিএসটি (GST) কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে দেশের পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যাচ্ছে, এই সংস্কারের মাধ্যমে একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের হার কমিয়ে আনা হতে পারে।
দীপাবলির আগে বড় উপহার?
চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিএসটি সংস্কারের ইতিবাচক দিকগুলোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন প্রজন্মের সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, কৃষক এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সমস্ত পরিবর্তন দীপাবলির আগেই ঘোষণা করা হতে পারে।
কী কী পরিবর্তন আসছে?
গত মাসে জিএসটি বিষয়ক গ্রুপ অব মন্ত্রীরা তিনটি প্রধান স্তম্ভে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন:
স্ট্রাকচারাল রিফর্ম: কর কাঠামোকে আরও উন্নত করা।
রেট রেশনালাইজেশন: করের হারকে যুক্তিসঙ্গত ও সহজ করা।
ইজ অফ লিভিং: সাধারণ মানুষের জীবনযাপন আরও সহজ করা।
সরকারের মূল লক্ষ্য হলো জিএসটিকে আরও সহজ, স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ কর ব্যবস্থায় পরিণত করে দেশের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বৃদ্ধি করা।
কোন কোন পণ্যের দাম কমতে পারে?
এই সংস্কারের সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:
ঘি, মাখন, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, চিজ এবং মিল্ক পাউডার-এর ওপর বর্তমানে ১২% বা ১৮% কর রয়েছে। এগুলো কমিয়ে ৫% করের আওতায় আনা হতে পারে।
খাদ্য খাতের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, কর কমলে বাজারে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়বে।
এছাড়াও ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা সামগ্রী, সিমেন্ট এবং গাড়ি-ও সস্তা হতে পারে।
এই সংস্কারের ফলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের পর দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।