রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট, এবার ব্যবস্থা নিচ্ছে শিক্ষা দফতর

রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি এবার সামনে এসেছে। খোদ শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২২০০-এর বেশি স্কুলে হয় মাত্র একজন শিক্ষক আছেন, অথবা কোনো শিক্ষকই নেই।
কোথায় কত শিক্ষক নেই?
শিক্ষা দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলায় শিক্ষকের অভাব সবচেয়ে বেশি। সেখানে ৩০৬৭টি স্কুলের মধ্যে ৩৭২টিতে মাত্র একজন করে শিক্ষক আছেন। বাঁকুড়ায় ৩৫৬৮টি স্কুলের মধ্যে ৩৭১টিতে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৪৯৭টি স্কুলের মধ্যে ২২৭টি স্কুলে শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়া বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলগুলোতেও একই অবস্থা।
কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
এই সংকট মোকাবিলায় শিক্ষা দফতর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, যে স্কুলগুলোতে শিক্ষক নেই, সেখানে একই জেলার অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক পাঠানো হোক। শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী, প্রতি ৬০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য দুজন শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক। সেই নিয়ম মেনেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কেন এই সংকট?
শিক্ষক নিয়োগে দেরি হওয়া এই সংকটের একটি বড় কারণ। ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও এখনো ইন্টারভিউ বা নিয়োগ হয়নি। আর ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফলাফল এখনো প্রকাশ পায়নি। এর ফলে হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী চাকরি পাচ্ছেন না। চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করছেন যে সরকার ও পর্ষদ এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর মতে, এই সংকট সরকারি স্কুলগুলোকে নষ্ট করে দিচ্ছে এবং বেসরকারি স্কুলগুলোর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, স্কুলগুলোকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং কর্মী নিয়োগ করা উচিত।